স্পোর্টস: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ব্যর্থতা ভুলে নতুন বছরে নতুন শুরু চান তাসকিন আহমেদ। স্বরূপে ফিরতে ইন সুইং নিয়ে বাড়তি কাজ করছেন তরুণ এই পেসার।
পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ এখনও যোগ দেননি দলের সঙ্গে। পেসারদের সঙ্গে কাজ করছেন খালেদ মাহমুদ। সাবেক এই অলরাউন্ডার বোলারদের শক্তির জায়গা নিয়ে আপাতত কাজ করছেন।
মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে শনিবার অনুশীলন শেষে তাসকিন জানান, বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে কাজ করছেন তারা।
“আমরা স্কিল নিয়ে কাজ করছিলাম। সিম পজিশন ঠিক করা, যার যা শক্তি- আউট সুইং, ইন সুইং (নিয়ে কাজ করছি)। শক্তির জায়গায় কিভাবে উন্নতি করা যায় এবং অ্যাকুরেসি কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করছি।”
“সুজন স্যার স্পটে বোলিং করিয়ে দেখছেন কার অ্যাকুরেসি কেমন, তার ভিডিও করা হচ্ছে। ভিন্ন ধরনের অনুশীলন হচ্ছে।”
চলতি বছরটা খুব একটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের পেসারদের। দেশের বাইরে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তাসকিন জানান, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে উন্মুখ পেসাররা।
“সত্যি কথা বলতে কী, শেষ দুটি সিরিজ আমাদের ভালো যায়নি। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটা বোলারদের জন্য খুব খারাপ ছিল। আশা করি, আমরা পরের সিরিজে ফিরে আসব। সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে। তাগিদটাও সবার বেশি। সেজন্য ফলটাও ভালো হবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় পুরোপুরি নিষ্প্রভ ছিলেন তাসকিন। তরুণ এই পেসার মনে করেন, আউট সুইং নিয়ে বেশি কাজ করতে গিয়ে সফরে সেভাবে কার্যকর ছিল না তার বোলিং।
“সুজন স্যারের সঙ্গে আমরা বোলাররা ছোটবেলা থেকেই কাজ করছি। তিনি জানেন, কার কী শক্তি। আমার সহজাত ইন সুইং রেখে হয়ত দক্ষিণ আফ্রিকায় আউট স্ইুং নিয়ে বেশি কাজ করতে গিয়ে মূল শক্তির জায়গায় ফোকাস করা হয়নি। এখন আবার সেটা করছি। স্যার সেখানেই ফোকাস করাচ্ছেন। আশা করি, ঠিক হয়ে যাবে।”
৩২ জনের প্রাথমিক দলে অলরাউন্ডারসহ পেসার ১২ জন। জায়গা পাওয়ার লড়াইটা তাই তীব্র। তাসকিন জানান, সব সময়ই লড়াই করে জাতীয় দলে জায়গা পেতে হয় পেসারদের।
“এটা তো শুধু এখন না, সব সময় চ্যালেঞ্জ অনুভব করতাম। দলে যারা আছে তাদের সবাই দক্ষ।”